Sunday, March 1, 2020

নভেল করোনা ভাইরাস সম্পর্কে যা না জানলেই নয়!!!

২০১৯-এনকোভি - যা নভেল করোনা ভাইরাস নামে পরিচিত - সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমের শিরোনামে প্রাধান্য বিস্তার করেছে। বেশ কিছুদিন যাবৎ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে নভেল করোনা ভাইরাস। সুদূর চীন থেকে বাংলাদেশে এখনো প্রবেশ না করলেও এই ভাইরাসে সংক্রমিত হবার ভয়ে সকলেই আতংকিত। করোনা ভাইরাস পরিবারের এই নতুন সদস্যের ব্যাপারে তেমন কোন তথ্য জানা না গেলেও গবেষকরা বলছেন, এর তীব্রতা সারস বা মারস করোনা ভাইরাসের চেয়ে কম। তবে এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আশংকা করা হচ্ছে যে, নতুন এই ভাইরাসটি ভাইরাল নিউমোনিয়াকে মহামারীর দিকে ঠেলে দিতে পারে।

ইতোমধ্যে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ নেপাল, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, সিংগাপুর,জাপান, তাইওয়ান, হংকং, ফ্রান্স এবং ইউ এস এ তে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সনাক্ত করা হয়েছে।
চীনসহ এসকল দেশের বহু মানুষ বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে কাজ করছেন। অন্যদিকে সেসব দেশেও অনেক বাংলাদেশী নাগরিকের বসবাস। এরা নিয়মিত বাংলাদেশে আসা যাওয়া করেন।

তাই সব মিলিয়ে বাংলাদেশও নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই ভাইরাসের সংক্রমণে ঝরে যেতে পারে ৬.৫ কোটি প্রাণ। যে কোন বয়সের মানুষই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। তবে একটি বিষয় লক্ষ্যণীয় যে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত শিশুদের ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। প্রধানত: আগে থেকে অসুস্থ বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাস মারাত্মক হতে পারে। তবে শহরাঞ্চলের দরিদ্র শিশুদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাসের পরোক্ষ প্রভাব রয়েছে।

এছাড়া ভাইরাস নামক জীবাণুর বিরুদ্ধে কোন এন্টিবায়োটিক কাজ করে না বলে, এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে হলে নিজেদের সচেতন হতে হবে। জানতে হবে এর বিস্তার, লক্ষণ এবং প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পর্কে। সাধারণ সতর্কতা অবলম্বন করে আপনি এই ভাইরাসটির সংক্রমণ ও বিস্তারের ঝুঁকি কমিয়ে আনতে পারেন। 

গঠন প্রকৃতিঃ 
করোনাভাইরাস হলো নিদুভাইরাস শ্রেণীর করোনাভাইরদা পরিবারভুক্ত করোনাভাইরিনা উপগোত্রের একটি সংক্রমণ ভাইরাস প্রজাতি। এ ভাইরাসের জিনোম নিজস্ব আরএনএ দিয়ে গঠিত। এর জিনোমের আকার সাধারণত ২৬ থেকে ৩২ কিলো বেস পেয়ার (kilo base-pair) এর মধ্যে হয়ে থাকে যা এ ধরনের আরএনএ ভাইরাসের মধ্যে সর্ববৃহৎ। করোনাভাইরাস শব্দটি ল্যাটিন করোনা থেকে নেওয়া হয়েছে যার অর্থ মুকুট। কারণ ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রে ভাইরাসটি দেখতে অনেকটা মুকুটের মত। ভাইরাসের উপরিভাগে প্রোটিন সমৃদ্ধ থাকে যা ভাইরাল স্পাইক পেপলোমার দ্বারা এর অঙ্গসংস্থান গঠন করে। এ প্রোটিন সংক্রামিত হওয়া টিস্যু বিনষ্ট করে। সকল প্রজাতির করোনাভাইরাসে সাধারণত স্পাইক (এস), এনভেলপ (ই), মেমব্রেন (এম) এবং নিউক্লিওক্যাপসিড (এন) নামক চার ধরনের প্রেটিন দেখা যায়।

উৎপত্তির ইতিহাসঃ 

করোনাভাইরাস ১৯৬০-এর দশকে প্রথম আবিষ্কৃত হয়। প্রথমদিকে মুরগির মধ্যে সংক্রামক ব্রঙ্কাইটিস ভাইরাস হিসেবে এটি প্রথম দেখা যায়। পরে সাধারণ সর্দিকাশিতে আক্রন্ত রোগীদের মধ্যে এরকম দুই ধরনের ভাইরাস পাওয়া যায়। মানুষের মধ্যে পাওয়া ভাইরাস দুটি ‘মনুষ্য করোনাভাইরাস ২২৯ই’ এবং ‘মনুষ্য করোনাভাইরাস ওসি৪৩’ নামে নামকরণ করা হয়। এরপর থেকে বিভন্ন সময় ভাইরাসটির আরো বেশ কিছু প্রজাতি পাওয়া যায় যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ২০০৩ সালে ‘এসএআরএস-সিওভি’, ২০০৪ সালে ‘এইচসিওভি এনএল৬৩’, ২০০৫ সালে ‘এইচকেইউ১’, ২০১২ সালে ‘এমইআরএস-সিওভি’ এবং সর্বশেষ ২০১৯ সাল চীনে ‘নোভেল করোনাভাইরাস’। এগুলোর মধ্যে অধিকাংশ ভাইরাসের ফলে শ্বাসকষ্টের গুরুতর সংক্রমণ দেখা দেয়।


লক্ষণ বা উপসর্গঃ 
শ্বাসতন্ত্রের অন্যান্য অসুস্থতার মতো নাক দিয়ে পানি পরা, গলা ব্যথা, কাশি এবং জ্বরসহ হালকা লক্ষণ সৃষ্টি করতে পারে এই ভাইরাস। কিছু মানুষের জন্য এই ভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক হতে পারে। এর ফলে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট এবং অর্গান বিপর্যয়ের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। খুব কম ক্ষেত্রেই এই রোগ মারাত্মক হয়। তবে, এই ভাইরাস সংক্রমণের ফলে বয়স্ক ও আগে থেকে অসুস্থ ব্যক্তিদের মারাত্মকভাবে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

যেভাবে ছড়ায়:
১। মূলত বাতাসে Air Droplet এর মাধ্যমে। 
২। আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি, কাশি থেকে।
৩। আক্রান্ত ব্যক্তিকে স্পর্শ করলে। 
৪। ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত কোন বস্তু স্পর্শ করলে। 
৫। পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থার মাধ্যমে।

প্রতিরোধ:
যেহেতু এখনো এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে কোন প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি তাই প্রতিরোধ ব্যবস্থাই পারে এর সংক্রমণ হতে আমাদের রক্ষা করতে।
১। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে অধিকতর সচেতন হওয়া।
২। ঘন ঘন সাবান এবং সেনিটাইজার ব্যবহার করে হাত,মুখমণ্ডল পরিষ্কার রাখা। যেমন-

  • হাঁচি, কাশি দেয়ার পর।
  • খাবার রান্না করা এবং খাওয়ার আগে।
  • টয়লেট ব্যবহারের পর।
  • পশু পাখি স্পর্শ করার পর।
  • আক্রান্ত ব্যক্তির সেবা করার পর।
  • অন্য কোন কারনে হাত ময়লা হলে।

৩। হাত পরিষ্কার না করে নাক, মুখ, চোখ স্পর্শ না করা।
৪। হাঁচি,কাশি দেয়ার সময় মুখে রুমাল ব্যবহার করা।
৫। ঠান্ডা বা ফ্লু আক্রান্ত ব্যক্তির থেকে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখা।চিকিৎসা সেবায় জড়িতদের প্রয়োজনে আলাদা মাস্ক, গ্লভস, এপ্রোন ব্যবহার করতে হবে।
৬। সংক্রমিত ব্যক্তিকে আলাদা রেখে সেবা দেয়া।
৭। অরক্ষিত বন্য জন্ত এবং গৃহপালিত প্রাণি থেকে সাবধান থাকার পাশাপাশি ডিম এবং মাংস খুব ভালোভাবে রান্না করতে হবে।
৮। কোন লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই নিকটস্থ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। 


সবাই সচেতন হোন। সুস্থ থাকুন।


তথ্যসূত্রঃ
১। ইউনিসেফ.ওআরজি, বাংলাদেশ চ্যাপ্টার
২। উইকিপিডিয়া/করোনাভাইরাস 
৩। ডাঃ জান্নাতুন নাঈম, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হসপিটাল

Saturday, February 11, 2017

আপনি কি মোটা হতে চান?


Steroid!!! It's a magic drug. Because it's a life saving drug along with lots of side effects!!!
২০০৯ সাল। তখন আমি ইন্টারমিডিয়েট পড়তাম। তখন আমার স্বাস্থ্যের খুবই করুন অবস্থা ছিল। আমার উচ্চতা ছিল ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি আর ওজন ছিল মাত্র ৫০-৫৫ কেজি। এমনকি অনার্স ফাস্ট ইয়ারেও আমার স্বাস্থ্যের কোন উন্নতি ঘটে নাই। আমার এই অবস্থার একটা সত্য গল্প বলি। অনার্স ফাস্ট সেমিস্টারে আরিফ স্যার আমাদের অর্গানিক কেমিস্ট্রি ক্লাস নিত। প্রথম ক্লাসে সবাইকে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞেস করছে কে কি করতে পছন্দ করে? যখন আমার কাছে আসলো, তখন আমি বললাম খেলাধূলা করতে ভালো লাগে। স্যার বলল কি খেলা? আমি বললাম, ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল......... স্যার বলল থামো। তোমার যে শরীর, তুমি তো বাতাসের আগে পড়ে যাবা খেলবা কখন? তাহলে বোঝেন আমার কি অবস্থা ছিল? আপনারা হয়ত ভাবছেন আমি এগুলো কেন বলছি? সব কিছুরই একটা ভূমিকা থাকে। আমার আজকের লেখার এটাই ভূমিকা। আমি মূলত আজ স্টেরয়েড ওষুধ নিয়ে কিছু বলার চেষ্টা করবো। মূল লেখা শুরুর আগে আমার বর্তমান অবস্থাটা আপনাদের বলে নেই। আমার বর্তমান উচ্চতা  ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি। ওজন ৮৫ কেজি। বিএমআই ২৬। তার মানে আমি এখন মোটেও আর আগের মত চিকনা না, মোটা মানুষ। যারা আমাকে আগে (২০১১) এবং এখন দেখেছেন তারাই কেবল অনুধাবন করতে পারবে আমি ফিজিক্যালি কতটা চেঞ্জ হয়েছি। আমার এই চেঞ্জ দেখে অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করেছে আমি পাম বড়ি (স্টেরয়েড) খেয়েছি কিনা?  আমি বলতাম না। কিন্তু তারা বিশ্বাস করত না। তারা আমার কাছে ইনিয়ে বিনিয়ে ওষুধের নাম জানতে চাইতো। আমি তাদের বুঝাতাম স্টেরয়েড নিলে কি হয়। আমাদের সমাজে এই শ্রেনীর লোকের অভাব নাই। মূলত তাদের জন্যই আজকের লেখা।
স্বাস্থ্য ভাল করার জন্য অনেকে স্টেরয়েড বা পাম বড়ি খেয়ে থাকে। এছাড়াও অনেক মেয়ে সুন্দর শারীরিক গঠনের জন্যও স্টেরয়েড নিয়ে থাকে। আসলে স্বাস্থ্য ভাল করার জন্য কোন ওষুধ লাগে না। আর  আপনি স্টেরন নামের যে ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ চান সেটা তো খাওয়াই যাবে না। কারণ স্টেরয়েড কি সেটা আগে আপনাকে জানতে হবে, বুঝতে হবে। স্টেরয়েড খুবই জটিল রোগের চিকিৎসায় অল্প দিনের জন্য খেতে বলা হয় এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছাড়া এর মাত্রা নির্নয় করা উচিৎ নয়। এজন্য স্টেরয়েডকে লাইফ সেভিং ড্রাগ বলা হয়। অ্যালার্জি, হাঁপানি থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকম আর্থ্রাইটিস রোগে প্রায়ই ব্যবহূত হয় স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ। এ ছাড়া হঠাৎ অজ্ঞান হলে কিংবা রক্তচাপ কমে গেলেও জীবন রক্ষাকারী ওষুধ হিসেবে ব্যবহূত হয় এই স্টেরয়েড। 

করটিসন, হাইড্রোকরটিসন, প্রেডনিসলন, ডেক্সামিথাসন ইত্যাদি বিভিন্ন নামে স্টেরয়েড ট্যাবলেট, ক্রিম-অয়েন্টমেন্ট, ইনজেকশন, ইনহেলার রয়েছে। বিভিন্ন সমস্যায় চিকিৎসকেরা এসব ওষুধ ব্যবস্থাপত্রে দিয়ে থাকেন। কিন্তু বহুরোগ উপশমকারী এবং জীবন রক্ষাকারী এই ওষুধের বহু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে।  প্রায়ই দেখা যায় যে সঠিক ও নিয়মিত পরামর্শের অভাবে স্টেরয়েড ব্যবহারকারী রোগীরা বিভিন্ন জটিলতায় আক্রান্ত হন।

  • দীর্ঘদিন স্টেরয়েড ব্যবহারের কারণে ওজন বৃদ্ধি পায়, উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেয় বা অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে, রক্তে শর্করা বাড়ে।
  • মুখ, গলা, ঘাড়, বুকে-পেটে চর্বি জমে।
  • হাত-পায়ের মাংসপেশি শুকিয়ে আসে এবং পেশির দুর্বলতা দেখা দেয়
  • গ্লুকোমার অবনতি বা চোখের ছানিজনিত দৃষ্টিশক্তির অবনতি ঘটে।
  • বিষণ্নতা, কখনো বা অস্থিরতা এবং ঘন ঘন মেজাজের তারতম্য ঘটে
  • রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। ফলে বারবার সংক্রমণ হয়।
  • কাটা-ছেঁড়া বা ক্ষত সারতে দেরি হয়।
  • হাড়ের ঘনত্ব কমে ও অস্টিওপেরোসিস হয়ে সহজে হাড় ভঙ্গুর হয়ে যায়।
  • মেয়েদের মাসিকের জটিলতা, মুখে বা শরীরে অবাঞ্ছিত লোম বৃদ্ধি।
  • চুল পড়া বাড়ে, ত্বক পাতলা হয়ে যায়, তলপেটে ফাটা দাগ হয়, ব্রণও বেশি হয়। 
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, স্টেরয়েড ওষুধ সেবন করার কারণে দেহের স্বাভাবিক স্টেরয়েড হরমোন নিঃসরণের ছন্দপতন ঘটে। মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্রন্থির মাধ্যমে অ্যাড্রিনাল গ্রন্থিও আর প্রয়োজনমাফিক হরমোন তৈরি করতে পারে না। অর্থাৎ রোগী স্টেরয়েড নির্ভর হয়ে পড়ে। হঠাৎ ওষুধ ছেড়ে দিলে বা ভুলে গেলে বমি, দুর্বলতা, পেট ব্যথা, রক্তে লবণের তারতম্য, রক্তচাপ কমে গিয়ে হঠাৎ অজ্ঞান হওয়ার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
তাই স্টেরয়েড সেবনের আগে স্টেরয়েড সম্পর্কে ভালোভাবে জানুন, বুঝুন। তারপরও যদি কেউ মোটা হওয়ার জন্য ওষুধ খেতে চান আপনি একজন মেডিসিন ডাক্তার দেখিয়ে রুচি বাড়ার ওষুধ খেতে পারেন। আর হ্যাঁ, হারবাল চিকিৎসা এড়িয়ে চলুন, কেননা এরাও স্টেরয়েড মেশানো ওষুধ দিয়ে মানুষকে অল্প দিনে মোটা করে থাকে যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।  

 বিঃদ্রঃ এই ব্লগ এর সব পোস্ট পেতে ফেসবুকে আমাদের সাথে জয়েন করুন। জয়েন করতে নিচের লিঙ্কে যানঃ

তথ্যসূত্রঃ






Friday, January 30, 2015

ঘুরে আসুন রবীন্দ কাছারি বাড়ি- সিরাজগঞ্জ থেকে।


রবীন্দ  কাছারি বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। শাহজাদপুরের সঙ্গে রবীন্দনাথ ঠাকুরের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। তার মানস গঠনেও এ অঞ্চলের প্রভাব অনস্বীকার্য। ১৯৪০ সালে বাণী সম্মেলনীতে তিনি স্বহস্তে লিখে পাঠান সে কথা। তিনি বলেছেনশাহজাদপুর তার অন্তরে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছেসে সাহিত্য সাধনার যোগস্নেহ সেবার যোগ। ১৯৩৯ তের টাকা দশ আনায় জমিদারি কিনে নেন। তার আগে এখানে ছিল নীলকরদের নীলকুঠি। অভ্যাসবসত এর নাম কুঠিবাড়িই রয়ে গেছে। হলুদ রঙের দোতলা ভবন। ভবনের দৈর্ঘ্য ২৬.৮৫ মিটারপ্রস্থ ১০.২০ মিটারউচ্চতা ৮.৭৪ মিটার। প্রতি তলায় সাতটি করে ঘর। উত্তর ও দক্ষিণে প্রশস্থ বারান্দা। কুঠি-ভবনের পাশেই কাছারি বাড়িমালখানা ও কর্মচারীদের বাসগৃহ। পুরোটাই রবীন্দ -কাছারি। বর্তমানে একটি আধুনিক অডিটোরিয়াম করা হয়েছে। অডিটোরিয়ামে স্থানীয় অনুষ্ঠান এবং জাতীয় পর্যায়ে রবীন্দ -জš§জয়ন্তির অনুষ্ঠান করা হয়। প্রায় দশ বিঘা জমির ওপর পুরো কাছারি বাড়ির অবস্থিতি। ১৮৯০ সালে লন্ডন থেকে ঘুরে আসার পর রবীন্দ নাথ ঠাকুরের ওপর জমিদারি তদারকির ভার ন্যস্ত হয়। সে সময় কোনও স্থলযান চলাচলের রাস্তা ছিল না। বোটে করে পদ্মা এবং সালে শাহজাদপুরের শ্রী হরিদাস বসাকের চিঠির জবাবে লিখেছিলেনসেই আমার দূরবর্তী শাহজাদপুর অনেকবার আমার মনকে টানে....। আবারশাহজাদপুরেই যেন ধরণীর সঙ্গে কবিগুরুর প্রণয় ঘটে। ২৩ জুন ১৮৯১ সালে ইন্দাণী দেবীকে লিখেছেনতীরে যেখানে নৌকো বাঁধা আছে সেইখান থেকে একরকম ঘাসের গন্ধ এবং থেকে থেকে পৃথিবীর একটা গরম ভাপ গায়ের উপরে এসে লাগতে থাকে মনে হয় এই জীবন্ত উত্তপ্ত ধরণী আমার খুব নিকটে থেকে নিঃশ্বাস ফেলছেবোধ করি আমারও নিঃশ্বাস তার গায়ে গিয়ে লাগছে। (২৩নং পত্রছিন্নপত্রাবলী)। 
১৮৯০ থেকে ১৮৯৭ সাল পর্যন্ত রবীন্দ নাথ শাহজাদপুরে জমিদারি দেখাশোনা করেছেন। ১৮৪০ সালে রবীন্দ নাথের পিতামহ প্রিন্স দ্বারাকানাথ ঠাকুর রানী ভবানীর কাছ থেকে আরও কয়েকটি নদী দিয়ে ভাসতে ভাসতে শাহজাদপুরের কুঠিবাড়ির ঘাটে এসে নামতেন তিনি। নদীতে পানি কম থাকলে সোনাই নদীতে বোট রেখে রাউতারা থেকে পালকি করে আসতেন। ফুলঝোর নদী থেকে শাখা বেরিয়ে কুঠিবাড়ির পূর্বদক্ষিণপশ্চিম তিনদিক বেষ্টন করে তিন মাইল দক্ষিণের হুড়া সাগরে মিশেছিল। এই শাখা নদীতেই বোট এসে কুঠিবাড়িতে ভিড়ত। এখন সেখানে পাকা রাস্তা। নদীর চিহ্নমাত্র নেই। আবারকুটিবাড়িতে আসার জন্য নদী পথও নেই। তবেঢোকার পথ মোটামুটি একই আছে। কবিগুরু বোট বা পালকি করে যে পথে আসতেনসেই পথেই এখন বাস বা রিকশা চলাচল করে। শাহজাদপুরে দিলরুবা বাসস্ট্যান্ড থেকে পূর্ব দিকের রাস্তা চলে গেছে কুঠিবাড়ির দিকে। রাস্তার শেষ মাথায় উত্তর-দক্ষিণ দুদিকে দুটি রাস্তা গেছে। উত্তর দিকের রাস্তায় গেলেই রবীন্দ -কাছারি বাড়ি। কাছারি বাড়ির পেছন দিকের গেইট এইটি। বর্তমানে এটাকেই প্রধান গেইট করা হয়েছে। সে সময় এখানেই ছিল ছোট নদীটিযার ঘাটে কবির বোট এসে থামত। কাছারি বাড়ির গেটে দাঁড়ালেই চোখ জুড়িয়ে যায়। বড় বাগান। নানা রঙের ফুল। রবীন্দ নাথ এখানে ট্যাংক তৈরি করিয়েছিলেন বারো মাস পদ্ম রাখার জন্য। ট্যাংকটির চারদিকে সিমেন্ট দিয়ে গোল করে বাঁধান ছিল। এখন অবশ্য সেই কৃত্রিম হ্রদ-পদ্ম নেই। তবে বাগানের ফুল দেখে রবীন্দ নাথের প্রকৃতিপ্রেমের পরিচয় পাওয়া যায়। বাগানের পরই তার হলুদ রঙের দোতলা কুঠি। নিচের তলা জুড়ে রবীন্দ নাথের নিজের বিভিন্ন ছবিতার আঁকা ছবি এবং তার হাতে লেখা পাণ্ডুলিপির পাতার অংশ বাধাই করে দেয়ালে টানানো রয়েছে। কিছুদিন আগেও এখানে লাইব্রেরি ছিল। অডিটোরিয়াম হওয়ার পর লাইব্রেরিটি তারই একটি কক্ষে স্থানান্তরিত হয়েছে। উত্তরদিকের বারান্দার একেবারে পশ্চিমে সিঁড়িঘর। গোল-প্যাঁচানো সিঁড়িটি যেন সবাইকেই উপরে উঠতে আহ্বান করে। ওঠার সময় পশ্চিমে একটি জানালা। সেদিকে তাকালে কর্মচারীদের আবাসস্থল দেখা যায়। এখন তার ভগ্নদশা। কিছু অংশ সংস্কার করে বাস-উপযোগী করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বসবাস করেন। ভবনের একটা বড় অংশ ভেঙে গিয়েছে। সিঁড়ির মুখেই দুটি দরজা। একটি দরজা খোলা শুরুতেই একটি পালকি। ঠাকুর বাড়ির পালকি। হয়তো বংশ পরম্পরায় ব্যবহার হয়েছে। আরও আছেপড়ার টেবিলচিঠি লেখার ডেস্কআলনাগোল টি-টেবিল। এরপর এঘর থেকে সেঘর। সেগুলোতে রক্ষিত রয়েছে রবীন্দ নাথের ব্যবহত নানারকম আসবাব-তৈজষপত্র : বেতের চেয়ারবড় ড্রেসিং টেবিলচিনা মাটির ছাকুনিটেবিল বেসিনআলনাদেবতার আসনবড় টেবিলশ্বেত পাথরের গোল টেবিলইজি চেয়ারপিয়ানোকাঠের দোলনা চেয়ারসোফা সেটহাতলযুক্ত চেয়ারস্ট্যান্ডে সংযুক্ত দুটি ড্রয়ারহাতলওয়ালা গদিযুক্ত চেয়ারআলনা স্ট্যান্ড৫টি আলমারিআলমারির ভেতরে কেতলিসসপ্যানফ্রাইপ্যানলন টেনিস খেলার র‌্যাকেটকাটা চামচচিনা মাটির ফুলদানিডিসটবজগজমিদারি মনোগ্রাম ৭টিবালতিকেরোসিনের বাতিঘণ্টা ট্রেবাতির চিমনি ইত্যাদি। আরও রয়েছে দুটি খাট। এছাড়া আরও বহু কিছু একসময় এখানে ছিল। যেগুলো ঢাকায় জাদুঘরে স্থানান্তরিত হয়েছে। স্থানীয় জনগণ ওই জিনিসগুলো আবার ফিরে পেতে চায়।
রবীন্দ নাথ ঠাকুরের সৃষ্টি-সম্ভারের উল্লেখযোগ্য অংশ শাহজাদপুরে বসে রচিত হয়েছে। বৈষ্ণব কবিতাদুই পাখিআকাশের চাঁদপুরষ্কার, হৃদয় যমুনাব্যর্থ যৌবনপ্রত্যাখ্যানলজ্জাচিত্রাশীতে ও বসন্তেনগর সঙ্গীতেনদীমাত্রামৃত্যু মাধুরীস্মৃতিবিলয়প্রথম চুম্বনশেষ চুম্বনযাত্রীতৃণমানস লোককাব্যপ্রার্থনাইছামতি নদীআশিষ গ্রহণবিদায়নব বিরহলজ্জিতাবিদায়হতভাগ্যের গানকাল্পনিকযাচনাসংকোচ মানসপ্রতিভা ইত্যাদি কবিতা এখানে লিখিত। পোস্টমাস্টাররামকানাইয়ের নির্বুদ্ধিতাব্যবধানতারা প্রসন্নের কীর্তিছুটিসমাপ্তিক্ষুধিত পাষাণঅতিথি গলাপগুলো এখানে লিখেছেন। ছিন্নপত্রের ৩৮টি পত্রপঞ্চভূতের অংশবিশেষ এবং বিসর্জন নাটক শাহজাদপুরে লেখা। শাহজাদপুরে চোখে দেখা বাস্তব চরিত্রগুলো তার সাহিত্যে স্থান করে নিয়েছে। এর মধ্যেগোপাল সাহার মেয়ে সমাপ্তি গল্পের নায়িকাহারান চক্রবর্তী ছুটি গল্পের ফটিকতার কাছারির বাবুর্চি কলিমুদ্দি চিরকুমার সভার কলিমুদ্দি মিঞাপোস্টমাস্টার মহেন্দ লাল বন্দ্যোপাধ্যায় পোস্টমাস্টার গল্পের নায়ক। স্বাধীনতার পর থেকে ব্যপকভাবে সরবে জেগে উঠেছে রবীন্দ তীর্থ শাহজাদপুর। 

তথ্যসুত্রঃ টুরিস্টগাইড২৪.কম 

বিঃদ্রঃ এই ব্লগ এর সব পোস্ট পেতে ফেসবুকে আমাদের সাথে জয়েন করুন। জয়েন করতেনিচের  লিঙ্কে যানঃ




Sunday, January 11, 2015

নরমাল ডেলিভারি বনাম সিজারিয়ান ডেলিভারি, কোনটি ভালো এবং কেন?

বর্তমান সময়ে সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে অনেকেই ঝুকি নিতে চান না। সময়ের আগেই তারা চান নিরাপদ ডেলিভারি। সেজন্যে এখন অনেকেরই পছন্দের তালিকায় আছে সিজারিয়ান ডেলিভারি। কিন্তু এ পদ্ধতিটি আসলেই কতটা যৌক্তিক। কেমন প্রভাব ফেলে মা ও শিশুর প্রতি? জানেন কি? আসুন নরমাল ডেলিভারির সাথে সিজারিয়ান ডেলিভারির কিছু গবেষণালব্ধ ফলাফল তুলনা করে দেখি, কোনটা, কেন যৌক্তিক?

নরমাল ডেলিভারিতে কি পাচ্ছিঃ
  • চাপশূন্য ধরণিতে আগমন। যদিও স্ট্রেস ফ্রি ভূমিষ্ঠক্ষণ নবজাতক শিশুর জন্য বাঞ্ছনীয় বলে শিশু চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা মত দিয়েছেন, তথাপি নরমাল জরায়ুমুখ প্রসবকালীন চাপ গ্রহণ করে যে নবজাতক জন্ম নেয়, তা তাকে পরবর্তী সময়ে জীবন বাঁচানোর সংগ্রামে ভিত এনে দেয় এমন ধারণা অনেকে পোষণ করেন।
  • নরমাল ভ্যাজাইনাল ডেলিভারিতে শিশু মা থেকে কিছু অণুজীবাণু পেয়ে থাকে, তা তার রোগ প্রতিরোধ সিস্টেম গঠনে সুফল এনে দেয়।
  • নরমাল ডেলিভারিতে জন্ম নেওয়া শিশুতে প্রাইমারি পালমোনারি উচ্চ রক্তচাপ অনেক কম। ফলে সন্তান ঝুকিতে অনেক কম থাকে।

সিজারিয়ান ডেলিভারিতে কি পাচ্ছিঃ 
  • সফলভাবে বুকের দুধ খাওয়ানোর সংগঠন বৈজ্ঞানিক তথ্যে জানাচ্ছে, নরমাল জরায়ুমুখ প্রসবের তুলনায় সিজারিয়ান শিশুর মাতৃদুগ্ধ পান শুরু বেশি সমস্যাঘন থাকে।
  • সিজারিয়ান অপারেশনে মাকে অস্ত্রোপচারের জন্য যেসব অ্যানেসথেটিক ওষুধ প্রয়োগ করা হয়, তা নবজাতক শিশুতে প্রভাব ফেলতে পারে। সফল বুকের দুধ পানে বাধা হয়ে উঠতে পারে।
  • সিজারিয়ান ডেলিভারির ফলে মাকে বাকি জীবনে মানতে হয় বিভিন্ন বিধিনিষেধ। যা বলতে গেলে তার স্বাভাবিক জীবনপ্রবাহকে চরমভাবে বাধাগ্রস্ত করে।
  • সি-সেকশনে জন্ম নেওয়া নবজাতক শিশুর হাসপাতালে থাকার সময়কাল বেশি বলে বেশি ইনফেকশন ঝুঁকিতে থাকে এসব শিশু।
  • সিজারিয়ান শিশুতে ব্লাড ইনফেকশন হার বেশি। জন্ডিস দেখা দেওয়ার পাল্লাটা খানিক হেলানো। ফরসেপের তুলনায় মাথায় আঘাতের আশংকা ৬০ শতাংশ কম কিন্তু সিজারিয়ান বেবিতে ইনটেনসিভ কেয়ার পরিচর্যার সংখ্যা ফরসেপের তুলনায় ২ দশমিক ৬ গুণ বেশি।
  • ২৫ শতাংশ সি-সেকশনে সময়ের দুই-তিন সপ্তাহ আগে সন্তান জন্মদান হয়ে যায়। শিশু ইনফেকশনে পড়ার এটিও এক কারণ হয়ে থাকতে পারে।
  • সি-সেকশনে জন্ম নেওয়া শিশু অণুজীবাণু পায় হাসপাতালের পরিবেশ থেকে, যা অত্যন্ত ভয়ংকর জীবাণু। তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হয় খর্ব।
  •  মিউনিখ, জার্মানিতে ৮৬৫ জন বেবি, যারা প্রথম চার মাস শুধু বুকের দুধে নির্ভরশীল ছিল, পরবর্তী সময়ে ১২ মাস বয়সে এসে দেখা যায় সি-সেকশনে জন্ম নেওয়া শিশুতে ডায়রিয়া হওয়ার ৪৬ গুণ বেশি ঝুঁকি মিলছে।
  • কিডস অ্যালার্জি রিস্ক ডাটা দেখাচ্ছে সি-সেকশনে জন্ম নেওয়া শিশুতে অ্যালার্জির প্রবণতা বেশি। গরুর দুধে অ্যালার্জি প্রায় দুই গুণ বেশি। অন্য পাঁচটা উপাদানেও অ্যালার্জিরভাব বেশি।
  • ২০০১ সালে প্রকাশিত জার্নাল অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল ইমিউনোলজি দেখাচ্ছে, সিজারিয়ান বাচ্চাদের মধ্যে অ্যাজমার প্রবণতা বেশি থাকে। এই গবেষণা হয়েছে ফিনল্যান্ডে
  • শিকাগোর ডা. এলিউট এম লেভিন ও সহযোগী গবেষকদের মতে, সি-সেকশনে জন্ম নেওয়া শিশুতে প্রাইমারি পালমোনারি উচ্চ রক্তচাপ পাঁচ গুণ বেশি। প্রতি হাজারে প্রায় চারজনে ঘটে। নরমাল ডেলিভারির শিশুতে এই হার ০.৮ প্রতি ১০০০ শিশু জন্মে।
  • নিউরোসায়েন্সের বিজ্ঞানীরা ইঁদুরে ওপর গবেষণা করে পেয়েছেন, সি-সেকশনে জন্ম নেওয়া শিশু পরবর্তী সময়ে সিজোফ্রেনিয়ার মতো গুরুতর মানসিক রোগে ভোগার ঝুঁকিতে থাকে বেশি।
  • যেসব মা সিজারিয়ান অপারেশনে বাচ্চা জন্মদানে বেশি আগ্রহী থাকেন, সেসব নবজাতক সন্তানের প্রথম ২৮ দিনে মৃত্যুহার তিন গুণ বেশি থাকে।

অতএব আপনিই এবার সিদ্ধান্ত নিন, কোনটা, কেন যৌক্তিক?

বিঃদ্রঃ তবে ইমারজেন্সি ক্ষেত্রে বাচ্চাকে দ্রুত প্রসব করাতে হবে (সাধারনত ৩০ মিনিটের মধ্যে)। এক্ষেত্রে মা ও শিশু উভয়ের কথা চিন্তা করে সিজার সবচেয়ে ভাল পদ্ধতি।এছাড়া যখন নরমাল ডেলিভারি সম্ভবই নয় অথবা নিচের কোন একটি তথ্য মিলে যায়, তখন সিজার সবচেয়ে ভাল পদ্ধতি

  • একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যথেষ্ট চেষ্টার পরও যদি স্বাভাবিক প্রসব না হয়।
  • প্রসবব্যথা চলাকালে যদি মা ও বাচ্চার শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়।
  • বাচ্চা যদি উল্টোভাবে অথবা আড়াআড়িভাবে গর্ভে অবস্থান করে।
  • একলাম্পশিয়া বা খিঁচুনি।
  • মায়ের হূদেরাগ, ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য রোগ।
  • যদি পূর্ববর্তী দুই বা ততোধিক সিজারিয়ান ডেলিভারির ইতিহাস থাকে, ইত্যাদি।