Monday, March 31, 2014

এপ্রিল ফুল আসলে কি?

আজ ১লা এপ্রিল।অর্থাৎ এপ্রিল ফুল।অনেকেই দিবসটি পালন করবে।আবার অনেকে এই দিনটি নিয়ে বিতর্ক করবেআমি নিজেও এই বিষয়টা নিয়ে দ্বিধান্বিত ছিলাম। নেটে এই দিনটির ইতিহাস নিয়ে ঘাঁটাঘাটিঁ করলাম। কিন্তু কোন ঘটনার নিশ্চিত প্রমাণ পেলাম না। অবশেষে ইউসূফ সুলতান সাহেবের এই লেখাটি পেলাম। খুবই ভাল লাগলো লেখাটি। মনে হলো,আসলে আমাদের এভাবেই চিন্তা করা উচিত। লেখার যে অংশটি বেশি ভাল লেগেছে সেটা তুলে দিলাম।


"প্রতিবছর এপ্রিল আসলে আমরা অনেক ইতিহাসবিদ দেখতে পাই। এপ্রিল ফুলের পেছনে কী ইতিহাস ছিল তা খোঁজার জন্যে অনেকেই রাত-দিন গবেষণায় ব্যস্ত হয়ে যান। একদল প্রমাণ করে দেখান যে, এটার পেছনে একটি জাতির মর্মন্তুদ ইতিহাস রয়েছে, কাজেই তাদের পক্ষে এটা পালন করা সাজে না।
আরেক দল প্রমাণ করেন যে, ইতিহাস সম্পূর্ণ ভুল। বরং এর পেছনের ইতিহাস সিরফ মজার, তাতে কোনো কষ্ট-কান্না নেই। তাই তা জাতি-ধর্ম-বর্ণ-কর্ম নির্বিশেষে যে কেউ পালন করতে পারে। বরং আমাদের গুরুরা যেখানে তা পালন করছেন, আমাদের তা পালন না করলে কি চলে!
তার মানে কী দাঁড়াল? তার মানে দাঁড়াল এই যে, এই দিবসটা পালনের বৈধতা-অবৈধতা ঘুরপাক খাচ্ছে এর পেছনের ইতিহাসের সত্যতা-অসত্যতার মাঝে। যদি ইতিহাস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে এটা জাতির বিপক্ষে কোনো মর্মন্তুদ ষড়যন্ত্রের উপর ভিত্তি করে শুরু হয়েছে, তাহলে তা পালন করা যাবে না। আর যদি তা প্রমাণিত না হয়, তাহলে তা ঠিকই পালন করা যাবে।
ব্যস, শুরু হয় দুপক্ষের বাকযুদ্ধ। এক পক্ষ উইকিপিডিয়া, এনকার্টা, ব্রিটানিকা ইত্যাদি চষে দেখাবেন যে, ইতিহাসটা সহীহ না। আরেক পক্ষ মুসলিমপিডিয়া, ইসলামপিডিয়া ইত্যাদি দিয়ে দেখাবেন ইতিহাসটা সহীহ। আরে ভাই! যেটার প্রকৃত ইতিহাস নিয়ে প্রকৃত ইতিহাসবিদরাই সন্দেহবিদ, সেখানে আমাদের মতো অনৈতিহাসিকদের ঐতিহাসিক হওয়ার কি কোনো মানে হয়? (প্লিজ কেউ রাগ করবেন না।)
সোজা কথায় আসি। ইতিহাস পক্ষে থাক বা বিপক্ষে থাক, সেটা কেন মূল আলোচনায় আসবে? প্রথমে দেখতে হবে, যে কর্মটা নিয়ে আমরা এত হইহই করছি, সেটার গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু। ধর্মের কথা না হয় বাদই দিলাম, কিন্তু মানবতাও কি এসব মিথ্যা-ধোকা সাপোর্ট করে? এই যে প্রতিবছর এটাকে কেন্দ্র করে এতসব অঘটন ঘটছে, এগুলো কি মানবতা বিরোধী নয়? বছরের ৩৬৪ দিন যা করলে মানুষ মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত হয়, এই একদিন তা করলে কি সে Jokes-বাদী হয়ে যায়? বরং এই দুমুখো আচরণের জন্য কি সে দুমুখী ভন্ড হয়ে যায় না?
মিথ্যা মানুষের স্বাভাবিক বাকশক্তিকে ব্যাহত করে। সমাজে তার বিশ্বস্ততা কমিয়ে দেয়। পৃথিবীর কোনো ধর্ম-দর্শন মিথ্যার পক্ষে কথা বলে নি। বড় বড় মনীষীগণের জীবনী খুঁজলে দেখা যাবে যে, তারা জীবনের শেষ বিন্দু পর্যন্ত সত্যের উপর অবিচল থেকেছেন।
মানুষের মাঝে পশুত্ব আর দেবত্ব দুটোই কাজ করে। পশুত্বকে দমিয়ে রেখে দেবত্ব অর্জনের চেষ্টায় তাকে থাকতে হয়। তা হলেই কেবল মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটে। কিন্তু, তারপরও, পশুত্বই জয়ী হয় অধিকাংশ সময়ে। আর স্বেচ্ছায় সে পশুত্বকে, একদিনের জন্যে হলেও, আশ্রয় দিলে তো তা ঘাড়ে চড়ে বসবেই।"


সম্পূর্ণ লেখাটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন। 


বিঃদ্রঃ এই ব্লগ এর সব পোস্ট পেতে ফেসবুকে আমাদের সাথে জয়েন করুন। জয়েন করতে নিচের লিঙ্কে যানঃ

No comments: