সম্প্রতি বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল এ গ্রেডভুক্ত ফার্মাসিস্টদের রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার নিমিত্তে আয়োজিত পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় প্রকাশ করেছে। স্বভাবতই যেকোনো পরীক্ষা পদ্ধতি ছাত্রছাত্রীদের কাছে উদ্বেগজনক এবং ভয়ের কারণ। উক্ত পরীক্ষা নিয়ে ওষুধ পেশাজীবী এবং ছাত্রছাত্রীদের মাঝে অহেতুক একধরনের বিতর্ক, মতানৈক্য এবং বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি এমন কটু পর্যায়ে চলে গিয়েছে যে স্পষ্টত দুটি দলে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। একটি পক্ষের যুক্তি হল সকল গ্রেডভুক্ত ফার্মাসিস্টদের পরীক্ষার মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন নিতে হবে। অপরপক্ষের বক্তব্য অনুযায়ী শুধুমাত্র সি গ্রেডভুক্ত ফার্মাসিস্টদের ফার্মেসি কাউন্সিল কতৃক আয়োজিত পরীক্ষার মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন পেতে হবে। সেক্ষেত্রে এ এবং বি গ্রেড ফার্মাসিস্টদের পরীক্ষা ব্যাতিরেকে সরাসরি রেজিস্ট্রেশন দেওয়া আইনত সিদ্ধ। সাধারণত ফার্মাসিস্ট পেশা নিয়ে জনসাধারণের নিতান্তই স্বল্পজ্ঞানের পরিধি, সরকারের ওষুধের নিরাপদ ব্যবহার নিয়ে অদূরদর্শী ওষুধনীতি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট সেবাকর্মীর অনীহাই ফার্মাসিস্টদের পেশাগত বিকাশে মুখ্য অন্তরায়। অপরদিকে পেশাগত বিভাজন আমাদের উত্তরোত্তর পিছনের দিকে ধাবিত করছে। এমন সময়ে এই হঠকারী সিদ্ধান্ত পেশাগত দ্বন্দ্বকে উসকে দেয়ার শামিল। জাতিগতভাবে দুটি দলে বিভক্ত রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব যেমন আমাদের উন্নতির পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তেমনি পেশাগত এই দ্বন্দ্বের ফলে মানসম্পন্ন ওষুধের উৎপাদন,বিতরণ,সংরক্ষণ এবং নিরাপদ ব্যবহার আজ হুমকির সম্মুখীন।
স্বাধিনতা উত্তরকালে ফার্মেসি পেশার যথাযথ বিকাশ এবং জনগণকে স্বল্পমূল্যে নিরাপদ ওষুধের ব্যবহার নিশ্চিতকরণে ১৯৭৬ সালে এক অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে ফার্মেসি কাউন্সিল গঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ফার্মেসি পেশার সার্বিক দিক দেখভালের দায়িত্ব তাদের হাতে ন্যস্ত করা হয়। তাই সামগ্রিকভাবে দেশের ফার্মেসি শিক্ষার ব্যবস্থা, অনুমোদন, মূল্যায়ন, রেজিস্ট্রেশন ইত্যাদি তার নিত্যনৈমিত্তিক কাজ। যার সুফল আজ দেশবাসী ওষুধখাতে অবলোকন করছেন। স্বল্প আয়ের দেশের তালিকায় একমাত্র বাংলাদেশই ওষুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এছাড়াও বিদেশে ওষুধ রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রার তহবিলে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। পেশাগতভাবে ফার্মাসিস্টবৃন্দ এই কৃতিত্বের দাবীদার। ফার্মেসি কাউন্সিল অধ্যাদেশ এবং ১৯৮২ সালের ওষুধনীতিই মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করেছে। অধ্যাদেশের ২৩ নং অনুচ্ছেদে ফার্মাসিস্টদের তিনটি গ্রেডে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যারা সরকার অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্মেসি বিষয়ে সম্মান ডিগ্রীপ্রাপ্ত তাদের এ গ্রেড, সরকারি বা বেসরকারি বিভিন্ন ইন্সটিটিউট থেকে ফার্মেসি বিষয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রীধারীদের বি গ্রেড এবং বিজ্ঞানে মাধ্যমিক পাশকৃত দুই বছরের কর্মঅভিজ্ঞতা সম্পন্নদের সি গ্রেডভুক্ত। তৎকালীন সময়ে এ এবং বি গ্রেডভুক্ত ফার্মাসিস্টদের পড়াশুনা শেষ করার পাশাপাশি আলাদাভাবে কোন পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি হয়নি বিধায় তাদের সরাসরি রেজিস্ট্রেশন দেয়া হয়েছে। যেমন চিকিৎসকদের ক্ষেত্রে কোন একটি অনুমোদিত মেডিকেল কলেজে পড়ালেখা শেষ করলেই তাদের সনদ দেয়া হয়, আলাদাভাবে আর কোন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়না। অপরদিকে সি গ্রেডভুক্তদের প্রথম থেকেই ফার্মেসি কাউন্সিল আয়োজিত পরীক্ষার মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন নিতে হয়েছে যা এখনও বিদ্যমান। ফার্মেসি অধ্যাদেশের ২৪ অনুচ্ছেদে বর্ণিত আছে ‘ যে কোন ব্যক্তি রেজিস্ট্রেশনের জন্য উপযুক্ত হবেন যদি অনুমোদিত কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্মেসি বিষয়ে ডিগ্রী থাকে অথবা ডিপ্লোমা ডিগ্রীপ্রাপ্ত, যা কাউন্সিল থেকে পূর্ব অনুমোদনপ্রাপ্ত’। পরবর্তীতে ২০০৬ সালে কাউন্সিল এ গ্রেডভুক্তদের জন্যও লেখাপড়া সমাপ্ত করে আলাদাভাবে রেজিস্ট্রেশন পরীক্ষার ব্যবস্থা করে। যা নিয়ে ব্যাপক আন্দোলন করেন তখন ছাত্রছাত্রীরা। ফলে এ গ্রেডভুক্তদের রেজিস্ট্রেশন পরীক্ষা বাতিল বিষয়ে আইনি লড়াই চলতে থাকে এবং রেজিস্ট্রেশন দেয়া বন্ধ থাকে। পুনরায় ২০১৪ পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করে রেজিস্ট্রেশন দেয়া শুরু হয়েছে। এখন প্রশ্ন হল কেন এই আইনি জটিলতা?
যে কোন কারিগরি পেশার ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন পরীক্ষা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। যেমন আইনজীবীদের বার কাউন্সিলের পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়, বেসরকারি শিক্ষকদের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে স্কুল কলেজে চাকুরী পেতে হয়, গাড়িচালকদের ক্ষেত্রে পরীক্ষা দিয়েই সনদ নিতে হয় ইত্যাদি। অপরদিকে চিকিৎসক অপ্রতুলতা থাকায় আমাদের দেশে তাদের জন্য আলাদাভাবে পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়নি। তাহলে ফার্মাসিস্টদের জন্য বর্তমান পেশাগত দক্ষতায় আদৌ এই রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজন আছে কি? ফার্মাসিস্টদের কর্মপরিধি বর্তমানে অত্যন্ত সীমিত। ওষুধের উৎপাদন এবং বিপণনের মধ্যেই তাদের কাজ সীমাবদ্ধ। ওষুধের যৌক্তিক ব্যবহার নিশ্চিতকরণে তাদের ভূমিকা নেই। প্রত্যেকটি উন্নত দেশে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওষুধের বিতরণ, সংরক্ষণ এবং নিরাপদ ব্যবহারের লক্ষ্যে অধিকাংশ স্নাতক সম্মানধারীরা হসপিটাল কিংবা কমিউনিটি ফার্মাসিস্ট হিসেবে কাজ করছেন। আপনি চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া এবং ফার্মাসিস্টের তত্বাবধান ব্যতিত কোনভাবেই ওষুধ ক্রয়, বিক্রয় ও ব্যবহার করতে পারবেন না। তাই ঐ সব দেশে ফার্মেসি শিক্ষা ব্যবস্থা দুই ধরনের। যারা হাসপাতালে কিংবা ওষুধের দোকানে কাজ করবেন তাদের ছয় বছরের পেশাগত ফার্মেসি ফার্ম ডি ডিগ্রী দেয়া হয় (চিকিৎসা শিক্ষার মত) এবং পাশাপাশি লাইসেন্সপ্রাপ্ত হতে আলাদা রেজিস্ট্রেশন পরীক্ষার ব্যবস্থাও আছে (চিকিৎসকদের ক্ষেত্রেও)। তবেই একজন ফার্মাসিস্ট ক্লিনিক্যাল ক্ষেত্রে তাদের পেশায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। কিন্তু যারা ওষুধ নিয়ে গবেষণা কিংবা ওষুধ উৎপাদনে জড়িত তাদের ক্ষেত্রে চার বছরের স্নাতক ডিগ্রী দিয়েই তাদের পেশা আরম্ভ করতে পারেন। বিষয়টি এমন যে কোন গাড়ির চালককে অবশ্যই পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়ে সনদ অর্জন করতে হবে এবং তা হালনাগাদও করতে হবে নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর। কিন্তু কোন মেকানিকের গাড়ি চালনার পেশাগত সনদ না থাকলেও চলে। অর্থাৎ যেসব ফার্মাসিস্ট ক্লিনিক্যাল ক্ষেত্রে পেশাগত দায়িত্ব পালন করবেন, তাদের অবশ্যই রেজিস্ট্রেশন পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকবে এবং তা নির্দিষ্ট সময়ে হালনাগাদও করতে হবে। কিন্তু যারা ওষুধ উৎপাদনের সাথে সংশ্লিষ্ট তাদের আলাদাভাবে রেজিস্ট্রেশন পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা নেই। শুধু ফার্মেসি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রী থাকলেই তাদের পেশাগত দক্ষতা দেখানো সম্ভব। যা রীতিমত আমাদের দেশে সফলতার সাথে প্রমাণ করেছে। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে বর্তমান পরিস্থিতিতে রেজিস্ট্রেশন পরীক্ষার এই মুহূর্তে প্রয়োজনীয়তা নেই। কারণ উন্নত বিশ্বের মত হসপিটাল কিংবা কমিউনিটি ফার্মাসিস্ট নামক কোন পদ আমাদের দেশে নেই। আর এটি নিয়ে সরকারের আদৌ কোন ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও নেই। তাই ফার্মাসিস্টদের একটি মাত্র কর্মক্ষেত্র ওষুধের উৎপাদন। যেখানে কাজ করার জন্য আলাদাভাবে রেজিস্ট্রেশন পরীক্ষার ব্যবস্থা অর্থহীন। জাতীয় ওষুধনীতি ২০০৫ এর ৮ ধারা অনুযায়ী ওষুধের উৎপাদনে নিয়োজিত ব্যক্তিদের ফার্মেসি বিষয়ে জ্ঞান থাকা আবশ্যক। তাই উক্ত পরীক্ষা ব্যবস্থা ফার্মেসি পেশায় আগন্তুক সকল ছাত্রছাত্রীকে অহেতুক দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে যা নৈতিকভাবেও প্রশ্নবিদ্ধ। কারণ বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রী উক্ত পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে তাদের ক্ষেত্রে কি হবে, এই বিষয়ে ফার্মেসি কাউন্সিলের কোন নির্দেশনা নেই। আর একজন ছাত্র উক্ত পরীক্ষায় পাশ করলেই কি তারা হসপিটাল কিংবা ক্লিনিক্যাল ফার্মাসিস্ট হিসেবে কাজ করার ক্ষেত্র পাবে? উন্নত বিশ্বে যেসব ছাত্রছাত্রী রেজিস্ট্রেশন পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনা তাদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন কোম্পানিগুলোতে চাকুরী পাবার নিশ্চয়তা থাকে। কোন ছাত্রছাত্রীকেই তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তায় থাকতে হয়না। কিন্তু আমরা এমন একটি সময়ে এই পরীক্ষার ব্যবস্থা করছি যেখানে সব স্নাতক ডিগ্রীধারীই একটি মাত্র কর্মক্ষেত্রের জন্য লড়াই করতে হয়। তাদের আলাদাভাবে বাছাই করার কোন প্রয়োজন নেই। তবে ভবিষ্যতে যদি কখনও সরকারি নিয়মনীতি অনুযায়ী অন্যান্য কর্মক্ষেত্রগুলো উন্মুক্ত হয় তবে অবশ্যই রেজিস্ট্রেশন পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকতে হবে। অনেকেই বলে থাকেন আমাদের দেশে এসব কর্মক্ষেত্র নেই বলে কি আমরা রেজিস্ট্রেশন পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে পারবনা? বিদেশেও অনেকে এই রেজিস্ট্রেশন কাজে লাগাতে পারবে? এধ রনের বক্তব্যের সঠিক উত্তর হল, আপনার সনদ থাকা সত্ত্বেও বহির্বিশ্বের প্রতিটি দেশে আলাদাভাবে তাদের স্বীয় পরীক্ষা ব্যবস্থায় উত্তীর্ণ হয়েই আপনি পেশায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। আমাদের দেশের সনদ তাদের কাছে মূল্যহীন। তাই এধরনের ভ্রান্ত ধারণার বশবর্তী না থেকে সঠিক পথে আসুন।
তাই অবিলম্বে রেজিস্ট্রেশন পরীক্ষা নিয়ে ভ্রান্ত জটিলতা নিরসন করতে হবে। পেশাগত দিক উন্মোচনের পরিবর্তে আমরা একটি কারিগরি বিষয়কে বিভাজনের দিকে ঠেলে দিচ্ছি। একজন ছাত্র যে আজকে ফার্মেসি পড়তে আসবে সে সারাক্ষণ ভয় এবং আশংকায় পর্যবসিত থাকবে, আদৌ সে রেজিস্ট্রেশন পাবে কিনা? একটি চাকুরী পাবে কিনা? শিক্ষক হিসেবে তার ছাত্রছাত্রী এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হোক কেউই বোধহয় তা চাইবে না। ফার্মেসি কাউন্সিল কি পারেনা সরকারের ওষুধনীতি এবং স্বাস্থ্যনীতিতে পরিবর্তন এনে ক্লিনিক্যাল ক্ষেত্রে আমাদের দ্বার উন্মুক্ত করতে? জাতীয় ওষুধনীতি ২০০৫ এর ৬ (খ), (গ) ধারা অনুযায়ী চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রবিহীন কোন ওষুধ বিতরণ এবং ব্যবহার করা যাবেনা। অন্যদিকে একই ধারায় বৈধ পেশাগত লাইসেন্সধারীই শুধু ওষুধ বিতরণ, সংগ্রহ এবং বিক্রয়ের অনুমতি পাবে। তাই সুস্পষ্ট নীতিমালা এবং কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেই এ গ্রেডভুক্ত ফার্মাসিস্টদের এ ক্ষেত্রে পেশাগতভাবে কাজে লাগিয়ে ওষুধের নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করা যেতে পারে। শুধুমাত্র সেক্ষেত্রেই এই রেজিস্ট্রেশন পরীক্ষার ব্যবস্থা আবশ্যক হবে। অন্যথায় অনেকেই বলে থাকেন এই রেজিস্ট্রেশন পরীক্ষার ব্যবস্থা মানে ফার্মেসি কাউন্সিলের অতিরিক্ত টাকা আদায়ের উৎস! প্রতি বছর দুই হাজার শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলে কতিপয় ব্যক্তিমহলের অর্থ চাহিদা পূরণ হয়? একজন ছাত্র অত্যন্ত আক্ষেপের সুরে অভিযোগ, যেখানে ওষুধ কোম্পানিতে মামা চাচার ভিড়ে একটি চাকুরী পেতেই অনেক কষ্ট পোহাতে হচ্ছে সেখানে এ ধরনের পরীক্ষা পদ্ধতি তৈরি করে আমাদের বেকার জীবনকে দীর্ঘায়িত করা ছাড়া আর কিছুই নয়। যথাযথ কতৃপক্ষের কাছে অনুরোধ প্রথমে কাজের একটি ক্ষেত্র সৃষ্টি করুন তারপর রেজিস্ট্রেশন পরীক্ষার ভূত ছাত্রছাত্রীদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিন। অন্যথায় বর্তমান কর্মক্ষেত্রকে সংকুচিত করার অধিকার আপনাদের নেই। যৌক্তিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে পেশার মানোন্নয়ন সম্ভব। কিন্তু অযাচিত সিদ্ধান্তের ফলে বিপুল সংখ্যক ছাত্রছাত্রীদের পেশাগতভাবে হুমকির সম্মুখীন করা একটি অনৈতিক কাজ।
মোঃ আব্দুল মুহিত
সহকারী অধ্যাপক, ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি এন্ড ফার্মাকোলজি বিভাগ, ঢাবি
এবং পিএইচডি গবেষক, জাপান
বিঃদ্রঃ এই ব্লগ এর সব পোস্ট পেতে ফেসবুকে আমাদের সাথে জয়েন করুন। জয়েন করতেনিচের লিঙ্কে যানঃ